রাশেদুল হক,মিরপুর প্রতিনিধি (কুষ্টিয়া) -কুষ্টিয়ার মিরপুরের শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে মারপিট করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল বুধবার (২৮ আগষ্ট) সকালে এ বিষয়ে মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্ত ভোগীরা। ভুক্তভোগীর ভাই মিরপুর তালতলা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মকলেসুর রহমান জানান- আমার আপন সহদর ভাই মোস্তাফিজুর রহমান (দিপু) (১৯) মিরপুর মাহামুদা চৌধুরী কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মামাতো ভাই জিম (১৬), কুরিপোল সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। গত মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সকাল অনুমান ৯টার সময় আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান (দিপু) ও জিম দ্বয় মিরপুর থানাধীন সুরসুড়ি (গোলাবড়ি) গ্রামস্থ্য আমার মামা জৈনক্য মোঃ কাদের মোল্লার বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যায়।ঐদিন বেলা ১০টার সময় আমার ভাই সঙ্গীয় জিম দ্বয় শোন্দাহ বাজার হতে চা নাস্তা শেষে ফেরার পথে শোন্দাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে রাস্তার উপর পৌছালে শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ডালিম(৩৫) তাদের দেখা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার বশবর্তী হয়ে শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরো ও দারোয়ানের সহায়তায় আমার ভাইদের অতর্কিত ভাবে আক্রমণ করে। এ সময় ডালিম আমার ভাই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (দিপুর) নিকট থাকা একটি স্মার্ট ফোন মূল্য ১৯,০০০/-( উনিশ হাজার ) টাকা, মানিব্যাগে থাকা নগদ ১৭,৫০০/- (সতের হাজার পাঁচ শত ) টাকা মানিব্যাগ এবং আমার ব্যবহারের একটি টিভিএস মেট্রো প্লাস মোটরসাইকেল মূল্য ১,৩০,০০০/- ( এক লক্ষ ত্রিশ হাজার ) টাকা সহ আমার মামাতো ভাই জিমের নিকট হইতে একটি স্মাট ফোন মূল্য ১৮,০০০/- ( আঠার হাজার ) টাকা ও মানিব্যাগ হইতে নগদ ৭৫০/- (সাত শত পঞ্চাশ হাজার) টাকা মানিব্যাগ সহ কেড়ে নেয় ও আমার ভাইদের টানা হেঁচড়া করে স্কুলের মধ্যে এনে একটি কক্ষের মধ্যে আটকিয়ে ঘটনাটি অন্য খাতে প্রবাহিত করার লক্ষে প্রধান শিক্ষক হিরোর হুকুমে আসামীগণ একযোগে লোহার রড, হাতুড়ি,ক্রিক্রেট খেলার স্টাম্প, স্টীলের স্কেল দ্বারা আমার ভাই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (দিপু) সহ জিমদের এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিঠ করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেঁচা ফোলা রক্তাক্ত জখম করে । ইতি মধ্যে উক্ত স্কুলের ছাত্র মোঃ জুনায়েদ (১৫), পিতা- মোঃ নাদের মোল্লা, সাং- সুরসুড়ি (গোলাবাড়ি) দৌড়ে আমার মামা কাদের মোল্লা (৩৮), পিতা- মৃত মহর আলী, উভয় সাং- সুরসুড়ি (গোলাবাড়ি), থানা-মিরপুর, জেলা- কুষ্টিয়ার বাড়িতে গিয়ে খবর দিলে আমার উক্ত মামাসহ স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থানে এসে আসামীদের কবল হতে জখমিদের রক্ষা করে। আমি সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থানে এসে আমার জখমি ভাইসহ স্বাক্ষীদের মুখে উল্লেখিত ঘটনার বিস্তারিত জেনে শুনে পথ চলতি সিএনজি যোগে জখমিদের মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় প্রধানগণ জ্ঞাত হয়ে আপোষ মিমাংসার প্রচেষ্টা করে বিফল হওয়ায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি।