বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ শনিবার রাতে তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বঙ্গভবন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। দেশের বাইরেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তার আগে ১৯৮৪ সালে জজ আদালতের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ তারা আইন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে বাসসকে জানান মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য পাঁচ বিচারপতি হলেন এম. ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বাসসকে জানান, তিনি পদত্যাগে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকেই তিনি পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন বলে জানান।
আজ বেলা ১১টা থেকে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে জড়ো হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এসময় পদত্যাগের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগানে উত্তাল হয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক আইনজীবীও একই দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনার জন্য প্রধান বিচারপতির ডাকা আজকের ফুলকোর্ট সভাও স্থগিত করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভাটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের গনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।