কুষ্টিয়ার মিরপুরের নওয়াপাড়া গ্রামসহ অন্যান্য এলাকার সংঘবদ্ধ চোরচক্রের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবীতে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে মিরপুর পৌর ভবনের সামনে নওয়াপাড়া গ্রামের কয়েকশত লোকের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীর পক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন নাসিরুজ্জামান রানা। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন- গত ৬ই আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে মিরপুর উপজেলার মিরপুর পৌরসভাধীন নওপাড়া গ্রামের ওহিদ মন্ডলের বাড়ী থেকে ১টি গরু চুরি হয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। চুরির এঘটনার পর একই গ্রাম থেকে ৩০/১০/২০২৪ইং তারিখে জাহিদের ২ লক্ষ টাকা দামের একটি বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারী আমার (নাসিরুজ্জামান রানা) বাড়ী থেকে ভোর রাতে ৩টি গরু চুরি হয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫লক্ষ টাকা। এছাড়াও আমাদের নওপাড়া গ্রাম থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের মিন্টুর একটি অটো রিক্সা চুরি হয়ে যায়। এঘটনার পর থেকে আমরা গ্রামবাসী রাতদিন চোর চক্রদের হাতে নাতে ধরার জন্য সজাগ থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ইং আনুমানিক রাত ১.৩০ ঘটিকার সময় নওপাড়া গ্রামের সাইফুলের বাড়ী থেকে গরু চুরি করার সময় নিজ বাড়ীর মালিক সাইফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা হাতে নাতে অনিক নামের চোর চক্রদের একজন সদস্যকে ধরে ফেলে। সে সময় আরো ৩-৪জন চোর পালিয়ে যায়। এসময় চোর ধরার পর পরই আশে পাশের প্রতিবেশীসহ প্রায় শত শত মানুষ জড়ো হয়। চোর আটকের ঘটনা শুনে আমার ফুফাত ভাই শিল্প মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে আমি, আমার চাচাত ভাই নাসিম ও ভাতিজা মিলন ঘটনাস্থলে হাজির হই। পরবর্তীতে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে চোর অনিকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই গ্রামের রবিউল ইসলাম ও জসিমের নাম সহ আরো কয়েক জনের নাম বলে দেয়। এরপর স্থানীয় থানাতে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে চোর চক্রদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। জেল থেকে জামিন নিয়ে আবারও চুরির মত অপরাধের সাথে তারা জড়িয়ে পড়েছে। এবং তারা তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এলাকাতে তাদের মাধ্যমে আবারও বড় ধরনের চুরির মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা আশংকা করছি। এব্যাপারে আমি বা আমাদের গ্রামবাসী স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এলাকার শান্তিশৃক্সখলা বজায় রাখার জন্য সাংবাদিক ভাইয়ের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।