ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার রাতে তেহরান ও কারাজ শহরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল।
ইসরাইল হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, শুক্রবার রাতে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে
প্রতিশোধমুলক পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
জেরুজালেম থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, তেহরান এবং কারাজ শহরের আশপাশে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত অথবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
তেহরানের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছে, ‘তেহরানে তারা মোট সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনেছেন। এসব বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকাগুলো প্রচন্ড বেগে কেঁপে ওঠেছে।’
শুক্রবার রাতেই ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইল কয়েক মাস ধরে ইরানের হামলার জবাবে, ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোয় ‘সুনির্দিষ্টভাবে হামলা’ চালিয়েছে তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী।’
যুক্তরাষ্ট্র ইরানে ইসরাইলের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে তারা এই হামলার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নয়।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরাইল
আত্মরক্ষার স্বার্থেই ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ‘সুনির্দিষ্টভাবে হামলা’ চালিয়েছে। এই হামলা গত ১ অক্টোবর ইরানের হামলার পাল্টা জবাব।’
ইসরাইল দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছে, ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট বলেছেন, পাল্টা হামলাটি হবে ‘প্রাণঘাতি, সুনদির্ষ্টিভাবে,এবং বিস্ময়কর।’
ইসরাইলের ইতিহাসে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতি হামলার পর থেকে ইসরাইল ইরান-সমর্থিত
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই হামলায় ১২০৬ জন ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকে ইসরাইলি শীর্ষ কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়ে আসছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক-আব্দুল আউয়াল।
Email-dailyprovaterkagoj@gmail.com