আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিম। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ সময় আদালতের এজলাসে আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে ছাত্র নিহতের একাধিক মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির অন্য নেতাদের মতো হাজী সেলিমও আত্মগোপনে চলে যান। সাম্প্রতিক এই ঘটনা ছাড়াও পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে জমি ও ভবনসহ বিভিন্ন দখলের অভিযোগ পুরোনো।
এর আগে গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের এই নেতা। সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ২০০৮ সালে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের সাজা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এই সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।